বাংলাদেশের ম্যাচটা শুরু হলো নির্ধারিত সময়ের বেশ পরে।
প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান গতকাল উদ্বোধন করলেন বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি। এরপর শুরু হলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেটা শেষ হয়ে ম্যাচ শুরু হলো নির্ধারিত সময়ের সোয়া এক ঘণ্টা পর।
অবশ্য মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী জাতীয় ইনডোর স্টেডিয়ামের গ্যালারিভর্তি দর্শকদের দেখে মনে হলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বেশ উপভোগই করেছেন তাঁরা। উপভোগ্য হলো বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচটাও। বাংলাদেশের জয় দেখেই বাড়ি ফিরেছেন দর্শকেরা। দক্ষিণ কোরিয়াকে ৬৭–২২ ব্যবধানে হারিয়ে দারুণ শুরু হলো আরদুজ্জামান–মিজানদের।
২০১৮ সালে জাকার্তা এশিয়ান গেমসে এই দক্ষিণ কোরিয়ার কাছেই বাংলাদেশ হেরেছিল ৩৮–১৮ ব্যবধানে। তার আগে ২০১৬ সালে ভারতের আহমেদাবাদে বিশ্বকাপ কাবাডিতেও ৩৫–৩২ ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে আজ বাংলাদেশ দল হতাশ করেনি।
কোরিয়ার এ দলটিতে অবশ্য নতুন খেলোয়াড় বেশ কয়েকজন। দলটির কোচ জিনসেওক ক্যাংই বললেন, ‘আমরা নতুনদের নিয়ে দলটা গড়ে তুলছি। এই দলে ২০ থেকে ২৩ বছর বয়সী খেলোয়াড় বেশি। তবে এটিই আমাদের জাতীয় দল। বাংলাদেশ ভালো খেলেই ম্যাচটা জিতেছে।’
বাংলাদেশ কাবাডি দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আরদুজ্জামান মুন্সীর কথা, ‘(কোরিয়া দলে) পুরোনো খেলোয়াড়ও কয়েকজন ছিলেন, আমি তাঁদের চিনি। আবার নতুন খেলোয়াড়ও আছেন। তবে কারা ছিল, কারা ছিল না, এসব দেখার বিষয় না। আমরা ম্যাচটা ভালো খেলেই জিতেছি।’
দারুণ খেলেছেন বাংলাদেশের রেইডার মিজানুর রহমান। একাই দলকে এনে দিয়েছেন ১৫ পয়েন্ট। অথচ এই মিজানই শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে ২০২৩ সালের শেষ দিকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁর নিষেধাজ্ঞা উঠেছে ১৮ মে। এরপর দলের সঙ্গে যোগ দিয়েই এমন পারফরম্যান্স!