ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সেন্টমার্টিনে হু হু করে বাড়ছে পানি। ইতিমধ্যেই দ্বীপের চারপাশে আগের তুলনায় সাগরের পানির উচ্চতা ৩-৪ ফুট বেড়ে গেছে। এ কারণে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।
রোববার (২৬ মে) সকাল থেকে টেকনাফসহ সেন্টমার্টিন দ্বীপে থানা-উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। বিষয়টি জানিয়েছেন টেকনাফ মডেল থানার ওসি ওসমান গনি।
ওসি বলেন, বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হয়েছে। ইতিমধ্যে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর এবং কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ সংকেত জানার পরপরই টেকনাফ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সেন্টমার্টি দ্বীপসহ টেকনাফ, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, বাহারছড়া, হোয়াইক্যং ও হ্নীলায় মাইকিং করা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয় যেতে বলা হচ্ছে। যেকোন ধরনের দুর্ঘটনা মোকাবিলায় পুলিশের টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।
টেকনাফ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ সাফকাত আলী বলেন, বিপদ সংকেত বৃদ্ধি হলে সেন্টমার্টিনসহ টেকনাফের উপকূলে বসবাসকারীদের নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। দ্বীপসহ উপকূল ইউনিয়নে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার-পানি মজুত রাখার পাশাপাশি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রয়েছে।